শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ১১:১০ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
শহর রক্ষা বাঁধ সংস্কার ও আধুনিকায়ন এবং লাউকাঠী ও লোহালিয়া নদীর তীরবর্তী খাস জমি অবমুক্ত করার দাবি।
২২ সেপ্টেম্বর’২০২৩ শুক্রবার বিকালে পটুয়াখালীতে জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায তৎপর সাংবাদিকদের সরেজমিনে পরিদর্শন কালে উঠে আসে এই সচিত্র প্রতিবেদনটি।
পটুয়াখালী জেলা শহরের সিংহভাগ জুড়ে অবস্থিত স্বনির্ভর সড়কের উত্তর ও পূর্ব পাশে লাউকাঠী এবং লোহালিয়া এই দুই নদীর তীরবর্তী খাস জমি অবমুক্ত করণ ও শহর রক্ষা বাঁধের অসমাপ্ত কাজ সম্পাদন করে উন্নয়নের দাবি শহরবাসীর।
শহর সংলগ্ন উভয় নদীতে জেগে ওঠা চরে খাস জমি বেদখলের হাত থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে উদ্ধারে খুশি শহরবাসী।
পূনঃবেদখলের চেষ্টায় রত কে বা কাহারা?
জনমনে প্রশ্ন!!
পাশাপাশি পটুয়াখালী শহর রক্ষা বাঁধ পূর্নাঙ্গ ভাবে নির্মাণের দাবি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পূর্ববর্তী ১৯ টি জেলার অন্যতম একটি এই পটুয়াখালী জেলা।
এই জেলা শহরের উত্তরে লাউকাঠি নদী এবং লোহালিয়া নদী অবস্থিত। প্রকৃতি কত ভাবে দুটি নদী দ্বারা বৃষ্টিতে থাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় জেলা শহর প্লাবিত হওয়ার কারণে শহর রক্ষা বাঁধ ও অপরিহার্য হলে এই এই বাঁধ টি নির্মিত হয়।
কিন্তু বাঁধের কাজ পরিপূর্ণ না হওয়ায় নানাবিধ সমস্যা দেখা দিলে দাবি ওঠে পূর্নাঙ্গ বাঁধ নির্মাণের।
এক সময়ের পটুয়াখালীর পুরাতন ষ্টিমার ঘাট পর্যন্ত লাউকাঠী নদীর দক্ষিণ দিকের।
অত্র নদীর উত্তর পাড়ের জনগণের দাবি আইনী ভিত্তিতে তাদের নিজস্ব জমি ভেংঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
(নদী ভাঙ্গনের সত্যতা পাওয়া গেছে এই সরেজমিন পরিদর্শন কালে)
তাদের ভাষ্যমতে, যা আসলে খাস জমি নয়,তাদের নিজস্ব জমি বলে দীর্ঘ বছর দাবি করে আসছেন।
অপরদিকে সরকারের অধীনে খাস জমি কিছুটা উদ্ধার হলেও সর্বমুলে আসল খাস জমির পরিমাণ কত?
হদিস আছে কি?
আমরা চাই না ঢাকার অদূরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী মতন কাগজ সর্বস্বঃ অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা।
এসকল জমি উদ্ধারে দাবি জনগণের।
অধিকন্তু প্রাচীন কাল থেকেই পটুয়াখালী জেলা শহরটি তার নিজস্ব স্বকীয়তায় দক্ষিণের জেলা শহর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর পটুয়াখালী।
শহরের নতুন বাজার সড়কটি প্রয়োজনের তূলনায় সংকীর্ণ হওয়ায় যানজটের ভোগান্তি চরমে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পথচারী শিশু, নারী, বৃদ্ধা রোগীরা ও স্কুল কলেজ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগামী ছাত্র ছাত্রীদের চলাচলের গতি রোধের কারনে নিত্যদিনের অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হয়।
এক্ষেত্রে অতি সন্নিকটে অবস্থিত শহর রক্ষা বাঁধ তথা স্বনির্ভর সড়কটি বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, সেই লক্ষ্যে সড়কটির প্রয়োজনীয় ল্যাম্প পোস্টের ব্যাবস্থা সহ আধুনিকায়ন এর দাবি শহরবাসীর।
একই সাথে শহরটিকে উঃ ও পূর্ব দিক থেকে স্থলভাগ ও ছোট্ট নদী দুটির দ্বারা প্রাকৃতিক ভাবে বেষ্টিত অপার সৌন্দর্যের শহর হিসেবে আকর্ষণীয় নদী- শহর এটি।
অর্থাৎ লাউকাঠী ও লোহালিয়া নদীর দ্বারা আবৃত শহরের সিংহভাগ উঃ এবং পূর্ব দুই নদীর উভয় পাড়ের সমন্বয়ে পরিকল্পিত উপায়ে স্থাপনা নির্মাণ ও নান্দনিক শহরে পরিণত করার দাবি দীর্ঘ দিনের।
“দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো সম্ভব নয়”
লাউকাঠী ও লোহালিয়া নদীর তীরবর্তী খাস জমি অবমুক্ত করে প্রয়োজনীয় উন্নয়নের মাধ্যমে পটুয়াখালী শহর কে নান্দনিক শহরে পরিণত হলে একদিকে যেমন জেলা পর্যটন খাত সহ ব্যবসা বাণিজ্যে ব্যাপক প্রসার ঘটবে ও সরকারের বাড়বে রাজস্ব আয়।
সেই সাথে নদী উপকূলবর্তী জেলা শহরের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ, মন্দির সহ ধর্মীয় উপাসনালয়ে যথার্থ পরিবেশ বজায় এবং জীবন মানের প্রসারতা ঘটিয়ে স্বাস্থ্য সন্মত নগরী হিসেবে পরিচিতি পেতে পারেন দক্ষিণ এর পটুয়াখালী জেলা শহরের।
ইতোমধ্যে পটুয়াখালী সেতু ও লোহালিয়া সেতু নামে দুটি নদীর উপর দুটো সেতু নির্মাণ করা হয়েছে এই নদী কে ঘিরে। এখন কেবলমাত্র দুই সেতুর মধ্যবর্তী নদীর তীরবর্তী এলাকায় উন্নয়নের দাবি জনগণের।
সম্প্রতি মহামান্য রাষ্ট্রপতির সন্মতিতে বিলটি পাশ হয়েছে” “দলিল যার ভুমি তার” ধন্যবাদ গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কে।
এমতাবস্থায় দুই নদীর দ্বারা পরিবেষ্টিত ও দুটি সেতুর দ্বারা সংযুক্ত মাঝখানের শহরটি রক্ষায় বাঁধ ও সৌন্দর্য বর্ধন সময়ের দাবি মাত্র।।
এ ক্ষেত্রে যথার্থ কতৃপক্ষের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মন্ত্রনালয় তথা সরকারের নিকট একটাই দাবি পটুয়াখালী শহরবাসীর।
রচনা ও সম্পাদনাঃ আলহাজ্ব সাংবাদিক ফিরোজ আহমেদ পটুয়াখালী।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।